বাজারে আসা নতুন সবজি শিম, ফুলকপির দাম বেশ চড়া। তবে আলু, ডিম, মাংশ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি হওয়ায় দাম বাড়েনি পেঁয়াজের। আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা এবং পটল ও পেঁপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ধুন্দল ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি ৭০ টাকা এবং বরবটি ও করলা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১৬০ টাকা কেজি দরে শিম এবং ৮০ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস চাল কুমড়া ৫০ টাকায় ও লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং কাঁচকলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। গত এক সপ্তাহ ধরে এই দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ডিমের পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও মুরগির কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়।
বাজারে নতুন সবজি হিসেবে শিম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। শিম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
খুচরা সবজি বিক্রেতা নাছির উদ্দিন বলেন, কাঁচা বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সিম। টমেটো ও গাজর সব বাজারেই মোটামুটি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা, বরবটির দামও কিছুটা বাড়তি। নতুন সবজি উঠার আগ পর্যন্ত দাম একটু বাড়তি থাকবে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। শিং মাছের কেজি ৩৫০-৪৬০ টাকা। আর ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কৈ মাছের কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।
মাছের মধ্যে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি ও ইলিশ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৯০০-১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা।
প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩০ টাকা এবং ভারতীয় মসুর ডালের দাম ১০ টাকা কমে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে লবণের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।
খোলা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায়। ২ কেজির প্যাকেট আটার দাম পড়ছে ১১৫ টাকা।